Tuesday, March 15, 2016

পাঁচবিবি উপজেলা:-

পাঁচবিবি উপজেলা বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

 অবস্থান ও আয়তন:-এই উপজেলার আয়তন ২৭৮.৫৩ বর্গ কিমি। উত্তরে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলা ও ঘোড়াঘাট উপজেলা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণে জয়পুরহাট সদর উপজেলা , পূর্বে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ও কালাই উপজেলা, পশ্চিমে জয়পুরহাট সদর উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। প্রধান নদী : ছোট যমুনা, তুলসীগঙ্গা ও হরবতী ।

 

ইতিহাস:-

পাঁচবিবি উপজেলা একটি প্রাচীন স্থান। এখানে খ্রিষ্ট পূর্ব সময়কাল থেকে বিভিন্ন সময় জনপদ তৈরী হয়েছে। নামকরণের বিভিন্ন মত রয়েছে। পূর্বে এই উপজেলার নাম ছিল লালবাজার থানা। পারস্যের বণিকেরা লালবাজার এলাকার সমৃদ্ধি দেখে পানসিভার শব্দ থেকেও পাঁচবিবি নাম করণ হতে পারে বলেও কিংবদন্তী রয়েছে। কেউ বলেছেন প্রাচীন জনপদ পঞ্চগৌড় এর রাজধানী ছিল পাঁচবিবি। পঞ্চগৌড় বিকৃত হয়ে পঞ্চগৌরীতে এবং পঞ্চগৌরী রূপান্তরিত হয়ে পঞ্চ হতে পাঁচ এবং গৌরী হতে বিবি অর্থাৎ পাঁচবিবি হয়েছে। একজন ঐতিহাসিক বলেছেন পাঞ্চাবিবি নামের একজন বৃদ্ধার জমিতে পাঁচবিবি রেলষ্ট্রেশন স্থাপিত হয়। ফলে রেলষ্ট্রেশনের নাম রাখা হয় পাঁচবিবি এবং সেখান থেকে পাঁচবিবি হয়েছে। নাম করণের ক্ষেত্রে বিতর্ক থাকলেও ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় আনুমানিক বাংলা ১১০০ সালে (১৭০০খ্রীঃ) বাগুড়ী (বর্তমান খাসবাগুড়ী) এলাকায় এক মুসলিম দরবেশ এর পর্যায়ক্রমে পাঁচ জন বিবি ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকে ধর্মপরায়ন, কামেল, ও শ্রদ্ধেয়া ছিলেন। পাঁচজন স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলে খাসবাগুড়ী ছোট যমুনা এর তীরবর্তী স্থানে তাঁদের পাঁচটি মাজার স্থাপিত হয়। তাঁদের স্মৃতি ও সম্মানার্থে তখনএলাকাবাসী সে স্থানকে ‘পাঁচবিবি দরগাহ’ পরর্বতীতে ‘পাঁচবিবি’ নামে ডাকত। খাসবাগুড়ী স্থানটি এখনও পুরানো পাঁচবিবি নামে সমাধিক পরিচিত। নদীভাঙ্গনের কারণে ১৮৬৮ সালে ১৬ই মার্চ লালবাজার থানা সদর বেল-আমলার লালবাজার স্থান হতে পাঁচবিবি দরগায় তথা পাঁচবিবিতে স্থানান্তর করা হয়। তথন থেকে এর নাম হয় পাঁচবিবি।

  1. ভৌগোলিক উপাত্ত

    ভাষা ও সংষ্কৃতি

    প্রশাসনিক এলাকা

    উপজেলা শহর ৯টি ওয়ার্ড ও ১৩টি মহলা নিয়ে গঠিত । আয়তন ৫.৮৩ বর্গ কিমি। জনসংখ্যা ২০১০২; পুরুষ ৫২.৩০%,মহিলা ৪৭.৭০%। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিমি ৩৪৪৮জন। শিক্ষার হার ৫২.২%। প্রশাসন পাঁচবিবি থানা সৃষ্টি ১৮৬৮সালে । বর্তমানে এটি উপজেলা । ইউনিয়ন ৮, গ্রাম ২৫৭, মৌজা ২২২, পৌরসভা ১।

    জনসংখ্যার উপাত্ত

    জনসংখ্যা ২,৪০,৭৯৭ জন; পুরষ ১,২৩,৯০৯ জন ও মহিলা ১,১৬,৮৮৮ জন।

    স্বাস্থ্য

    শিক্ষা

    শিক্ষার গড় হার ৩০.৬%; পুরুষ ৩৮.১%, মহিলা ২২.৭%।
    • কলেজ - ৫টি (বেসরকারিঃ ৪, সরকারিঃ ১),
    • মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ২৪টি (বেসরকারিঃ ২২, সরকারিঃ ২),
    • নিন্ম-মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ১০টি,
    • মাদ্রাসা - ২৮টি,
    • প্রাথমিক বিদালয় - ৮৬টি (সরকারিঃ ৫৮, বেসরকারিঃ ২৮),
    • কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান - ১টি।

    কৃষি

    • উত্পন্ন দ্রব্য - ধান, ইক্ষু, পাট, কচু, গম, কচুর লতি, আলু, পটল, সবুজ শাকসবজি।

    অর্থনীতি

    অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে কচু এবং কচুর লতি বিদেশে রপ্তানী হয়|

    যোগাযোগ ব্যবস্থা

    কৃতী ব্যক্তিত্ব

    • আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

    দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা

    বিবিধ

    আরও দেখুন

    • বাংলাদেশের উপজেলাসমূহ;
    • জয়পুরহাট জেলা;
    • রাজশাহী বিভাগ।

    তথ্যসুত্র


  2. "এক নজরে পাঁচবিবি"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন, ২০১৪। সংগৃহীত : ১০ জুলাই ২০১৪

  3. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "পাঁচবিবি উপজেলার পটভূমি"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগৃহীত ১১ জুলাই, ২০১৪

 

No comments:

Post a Comment