Friday, March 18, 2016
Upazila Map Of Akkelpur inJoypurhat district,Bangladesh
Thursday, March 17, 2016
famuse places photos galary in joypurhat District ,Bangladesh
Joypurhat Difference place by jurney in bangladesh:-Ph
1)historycal place.
'Khasbaguri.. |
Poran Bari...Joypurhat |
Lal Pahar |
Mondir Of Hinndu Religies |
2)Industry.
Suger Mill's joypurhat |
Add caption |
Mail's Of Rice |
3)Roads Transportation.
Joboy Bil Road Of Joypurhat |
Main Gate Of Joypurhat District |
Railway Station Of Akkelour in Joypurhat |
Village Road Of Joypurhat |
4)Rivers.
Seree River Oy Joypurhat |
Industry information Of Joypurhat District,Bangladesh
Main Gate Of Suger Mill"S ,Joypurhat |
Joypurhat Sugar Mill's Limited (Largest Sugar Mill In Bangladesh):-
জয়পুরহাট চিনিকল জয়পুরহাট শহর থেকে আধা কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
২০০০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের চিনিকলের সংখ্যা ছিল ১৫ টি । প্রায় প্রতিটি চিনিকলই বেশ পুরাতন এবং বিশাল জয়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। জয়পুরহাট চিনিকলও এর ব্যতিক্রম নয় ।
১৯৬১ সালে ২৮শে সেপ্টেমম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার শিল্প উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ১৮৮.৮৭ একর জমি অধিগ্রহন করে এই চিনি কল নির্মানের কাজ শুরু করেন । ১৯৬৩ সালে ১১ই ফেব্রুয়ারী নির্মান কাজ শেষ হলে তখনই আখ মাড়াই শুরু করেন বা চিনি উৎপাদনের কাজে লেগে যায় জয়পুরহাট চিনিকল । সেই থেকে এখনো পর্যন্ত নিরলস ভাবে চিনি উৎপাদন করে চলেছে এই চিনিকলটি ।
২০০০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের চিনিকলের সংখ্যা ছিল ১৫ টি । প্রায় প্রতিটি চিনিকলই বেশ পুরাতন এবং বিশাল জয়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত। জয়পুরহাট চিনিকলও এর ব্যতিক্রম নয় ।
১৯৬১ সালে ২৮শে সেপ্টেমম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার শিল্প উন্নয়ন সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ১৮৮.৮৭ একর জমি অধিগ্রহন করে এই চিনি কল নির্মানের কাজ শুরু করেন । ১৯৬৩ সালে ১১ই ফেব্রুয়ারী নির্মান কাজ শেষ হলে তখনই আখ মাড়াই শুরু করেন বা চিনি উৎপাদনের কাজে লেগে যায় জয়পুরহাট চিনিকল । সেই থেকে এখনো পর্যন্ত নিরলস ভাবে চিনি উৎপাদন করে চলেছে এই চিনিকলটি ।
Adrees Of Mill:-
Address: 5900, Joypurhat Sugar Mill Road, Joypurhat 5900, Bangladesh
Rivers Of joypurhat district,Joypurhat
Rivers Of joypurhat district:-
Bangladesh is a country of many rivers. There are 5 rivers in Joypurhat District.- Small Jamuna River; passes through Joypurhat Sadar Upazila and Panchbibi Upazila
- Tulshiganga River; passes through Joypurhat Sadar Upazila, Khetlal Upazila and Akkelpur Upazila
- Chiri River; passes through Panchbibi Upazila
- Haraboti River; passes through Panchbibi Upazila
- Sree River; passes through Chakbarkat Joypurhat Sadar Upazila
Tulshiganga River:
Tulshiganga is an important river of the district. It enters the district near the village of Mukindapur,
in Panchbibi thana from the Dinajpur district. Entering this district
it runs south-west in a meandering course till it falls in the Jamuna,
near Akkelpur. The river from beyond this point is known as the Jamuna
and flowing past Naogaon (Rajshahi district) falls into the Atrai. The
Principal places on its banks are pathuriaghatA where there are some old
relics. It runs a course of about forty miles in this district.
Another river, the Chhiri nadi also enters this district from
Dinajpur near village Salna in the Panchbibi thana. It flows in the
district for about thirty miles and then falls in the Jamuna near
Khanjanpur.From near Khanjanpur a small stream takes off. from Tulshjganga. Flowing for a course of about fifteen miles, it falls again in the Tulshjganga. There is a narrow canal, which is dry in several places during the
greater part of the year. It is an artificial branch of the Jamuna and is said to have been excavated about 200 years ago by one Rajib Lochan Mondol, a rich merchant Zamindar of Belamla. It was dug for the purpose of connecting Jamuna with Tulshiganga. This canal, Kata Ja.munD, as it is known, starts from Sikola, near Khanjanpur and proceeding almost directly south for about eighteen miles, joins the Tul- shiganga a little above Akkelpur. Ja malganj, a rising centre of trade and a railway station, is situated on its bank.
History and Tradition of Joypurhat District:-
Places of historical and Greater Naogaon, Rajshahi, Dinajpur and Bogra district, near a small district under the Department of Natural Beautiful Joypurhat. Many are scattered in every corner of Joypurhat aesthetic and historic places. Expanding the horizons of green crops in the field will fascinate any tourists. In addition to the Pala dynasty in the eighth century, the religion of Joypurhat sail Paharpur Buddhist Monastery is located near the district of Naogaon district Badalgachhi and Dinajpur district of Bangladesh located near the port of Joypurhat Healy. So there is a huge potential in the development of the tourism industry in the district. But the district government still has not developed the tourism industry. The government must quickly turn to a travel motel.
HISTORICAL PLACES OF JOYPURHAT DISTRICT RELETED:-
Hinda-suburb Shahi Jame Mosque shrine of Pir Gopinathpur Nimai patharghata nandail tanks lakama Royal Palace Temple Bar shivalaya temple ghat duyani acharanga tanks mamudapura Union tanks located at the pictures of Joypurhat Khetlal. The total area is of 2550 acres. The idea is almost 1200 years ago, 1070 feet to 1100 feet in length and width of the tanks were dug. According to many members of the royal family tahirpur Manu tanks dug in Bhatta. In the re-excavation of the tanks is 1992. The 12 statues were found during excavation the tanks in the country, which are preserved in the museum.
old Raj House,Joypurhat |
Joypurhat govt.mohila college,Bangladesh
Joypurhat govt.mohila college:-
Jaipurhat Govt. Mohila College
, Phone: 0571- 62457Email: mohilacollege.jaipurhat@gmail.com , Web: www.jgwc.edu.bd
Joypurhat Sadar Upazila, Rajshahi,Bangladesh
Principal'sJoypurhat govt.mohila college
Location Details of Joypurhat govt.mohila college
Place Type
University
Address
Postal Address:
Joypurhat Sadar Upazila,Joypurhat ,Rajshahi,Bangladesh
Joypurhat govt.mohila college
Joypurhat, BangladeshJoypurhat Sadar Upazila,Joypurhat ,Rajshahi,Bangladesh
Latitute
25.099785
Longitute
89.029884
Institute Level
Masters Level
Institute EIIN Number
121895
General information of Joypurhat govt.mohila college
Joypurhat govt.mohila college
Website
:
Mobile
: 01712768521
Email
:
Information Of Joypurhat Govt. College,Bangladesh
Welcome to Joypurhat Govt. College:-
Motto | জ্ঞানই শক্তি |
---|---|
Motto in English
|
Knowledge is power |
Type | Public |
Established | 1963 |
Chancellor | Abdul Hamid |
Administrative staff
|
500+ |
Students | 5000+ |
Location | Joypurhat, Bangladesh |
Nickname | JC |
Affiliations | Bangladesh National University |
Website | www.jgcbd.org |
Joypurhat Government College is the highest educational institution of Joypurhat. The college was established 1963 and is located near Joypurhat Railway Station. It is a National University College with the college code is 2801. The college was nationalized in 1980.
Joypurhar is a small northern district in Bangladesh surrounded by Dinajpur in the north, Bogra in the south, Gaibandha in the east and Naogaon and West Bengal of India in the west. It is just 12 km away from the historic Buddhist Bihar at Paharpur which is the largest Buddhist monastery bearing the glory and mystery of Buddhist civilization. Although small in size, Joypurhat is enriched with ethnic diversity and various sorts of natural and mineral resources. It is the sacred ground of Islamic saint popularly known as Hazrat Nimai Pir. Maulana Abdul Hamid Khan Bhasani, Great leader of Bangladesh as well as the third world countries, took many historic decision staying in Joypurha.
Principal's Message:-
Towards the journey of higher education
in Bangladesh Joypurhat Govt. College is one of the path finders and a
distinctive institution. During its 42 years of expedition for
developing human resource and flourishing intellectual faculty the
college has been contributing relentlessly to nation building. Being
overwhelmingly involved in socio-economic and cultural development the
institution has become a part and parcel of our national history. As the
intellectual, scholar and learned teachers of the country enlighten the
institution, the student ...
Subject Information:-
Accounting
Arabic and Islamic Studies
Bachelor of Arts (B.A.)
Bachelor of Business Studies (BBS)
Bachelor of Science (B.Sc.)
Bachelor of Social Science(B.S.S)
Bangla
Botany
Chemistry
Economics
English
Geography
History
HSC -Science
HSC-Business Studies
HSC-Humanities
ICT Department
Islamic History and Culture
Management
Mathematics
Philosophy
Physics
Political Science
Psychology
Sociology
Statistics
Zoology
Wednesday, March 16, 2016
জয়পুরহাট জেলার ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থান,Bangladesh
জেলার ঐতিহ্য:-
জেলার ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানসমূহ : বৃহত্তর
নওগাঁ, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলার নিকটবর্তী রাজশাহী বিভাগের অধীন প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য্যমন্ডিত একটি ছোট্ট জেলা জয়পুরহাট । জয়পুরহাট জেলার আনাচে-কানাচে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক নান্দনিক ও ঐতিহাসিক স্থান। এ জেলার দিগন্ত
বিস্তৃত সবুজ ফসলের মাঠ যে কোন ভ্রমণ পিপাসুকেই মুগ্ধ করবে । এ ছাড়াও অষ্টম
শতাব্দীর পাল বংশীয় রাজা ধর্ম পালের পাহারপুর বৌদ্ধ বিহার জয়পুরহাট জেলার
অতি নিকটে নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশের অন্যতম
স্থলবন্দর হিলি জয়পুরহাট জেলার নিকটে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় অবস্থিত ।
তাই এ জেলায় পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্ত অদ্যাবধি এ
জেলায় সরকারি উদ্যোগে পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠেনি। এখানে দ্রুত সরকারিভাবে
একটি পর্যটন মোটেল চালু করা আবশ্যক । জয়পুরহাটের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন
স্থান : আছরাঙ্গা দিঘী হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ নান্দাইল দিঘী লকমা
রাজবাড়ি পাথরঘাটা নিমাই পীরের মাজার গোপীনাথপুর মন্দির বার শিবালয় মন্দির
দুয়ানী ঘাট আছরাঙ্গা দিঘী ছবি জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর
ইউনিয়নে এই দিঘীটি অবস্থিত । এর মোট আয়তন ২৫.৫০ একর । ধারণা করা হয় প্রায়
১২০০ বছর পূর্বে ১১০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৭০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এ দিঘীটি
খনন করা হয়। অনেকের মতে তাহিরপুর রাজ পরিবারের সদস্য মনু ভট্ট এ দিঘীটি খনন
করেছিলেন । ১৯৯২ সালে এ দিঘীটি পুনরায় খনন করা হয় । এ দিঘীটি খনন কালে ১২
টি মূর্তি পাওয়া গেছে যা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
বর্তমানে দিঘীটির চর্তুদিকের পাড়ে একটি পাকা রাস্তা তৈরির কাজ চলছে ।
দিঘীটির চারদিকের অসংখ্য গাছ-পালা এবং এর স্বচ্ছ পানি এক মনোমুগ্ধকর
প্রাকৃতিক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে যা সকলকে আকৃষ্ট করে। প্রতি বছর অসংখ্য
ভ্রমণ পিপাসু লোকের এখানে সমাগম ঘটে । আছরাঙ্গা দিঘী, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট
হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ ছবি হিন্দা-কসবা শাহী জামে মসজিদ ক্ষেতলাল
উপজেলার হিন্দা গ্রামে অবস্থিত। হযরত আবদুল গফুর চিশতি ( রাঃ) ইহার নকশা
এবং নির্মাণ কাজ করেন । অপূর্ব নির্মাণশৈলীর জন্য এই মসজিদটি স্থানীয় এবং
বাহির হতে আগত লোকজনের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় । হিন্দা-কসবা শাহী জামে
মসজিদ, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট নান্দাইল দিঘী ছবি ঐতিহাসিক নান্দাইল দিঘীটি
জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলাধীন পুনট ইউনিয়নে অবস্থিত । ইহা দৈর্ঘ্যে প্রায়
১ কিঃ মিঃ । কথিত আছে রাজা নন্দলাল ১৬১০ সালে এই ঐতিহাসিক দিঘীটি খনন
করেন। দিঘীটির আয়তন ৫৯.৪০ একর । স্থানীয় জনগণের মতে দিঘীটি এক রাতের মধ্যে
খনন করা হয়েছে । এক সময়ে দিঘীটির পাড় অনেক উঁচু ছিল । শীত কালে দিঘীটিতে
প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য বর্তমানে দিঘীটি
পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে । দিঘীটির পাড়ে নান্দাইল
নামক একটি কলেজ স্থাপিত হয়েছে । নান্দাইল দিঘী, কালাই, জয়পুরহাট লকমা
রাজবাড়ি ছবি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া গ্রামে ঐতিহাসিক
লকমা রাজবাড়ি অবস্থিত । বাড়িটি বর্তমানে লকমা চৌধুরীর পরনাতীসহ
উত্তরাধিকারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সমিতি দেখাশুনা করে।
লকমা চৌধুরীর পরনাতী জানান, প্রায় ২০০-৩০০ বছর পূর্বে বাড়িটি নির্মাণ করা
হয় এবং বর্তমানে এখানে প্রায় ১৫ বিঘা জমি আছে । উক্ত জমিতে বিভিন্ন শস্য
উৎপাদনের পাশাপাশি ফল ও ফুলের বাগান দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, দালান
দুটির একটি ঘোড়াশাল এবং অপরটি হাতীশাল ছিল। তার একটু সামনে মাটির একটি ঢিবি
রয়েছে যেখানে ইউ আকৃতির বহু পুরাতন দ্বিতল ভবনের অবস্থান । জনশ্রুতি আছে
যে, ভবনের কিছু অংশ মাটির নীচে ডেবে গেছে । লকমা রাজবাড়ির পূর্ব পার্শ্বে
কবরস্থান ও কর্মচারীদের ঘর রয়েছে। এখনও প্রতিদিন অনেক লোক স্বচক্ষে
রাজবাড়িঢি দেখার জন্য আসে। লকমা রাজবাড়ি, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট প্রাচীন
সভ্যতার লীলাভূমি পাথরঘাটা ছবি জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলা সদর হতে ৫
কিঃ মিঃ পূর্বে তুলসীগঙ্গা নদীর পশ্চিম পার্শ্বে প্রাচীন সভ্যতার
ধ্বংসাবশেষপূর্ণ এলাকার নাম পাথরঘাটা । প্রায় ৯/১০ কিঃ মিঃ এলাকা জুড়ে
অসংখ্য প্রাচীন কীর্তির মধ্যে মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশে খোদাই করা শীলালিপি,
বিশাল গ্রানাইট পাথরের খন্ডাংশের জন্যই সম্ভবতঃ এলাকাটি পাথরঘাটা বলে
পরিচিত । পাথরঘাটার মূল কেন্দ্রের মাত্র ২০০ গজ উত্তরে প্রাচীনকালের চারপাড়
বাঁধানো একটি অগভীর জলাশয় আজও কালের সাক্ষী হয়ে আছে । পুকুরের পূর্বদিকে
খ্রিস্টান মিশনারীজগণ অত্যাধুনিক একাধিক ভবন নির্মাণ করে স্থানটির মান
অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। ভবনগুলি নির্মাণকালে খননের সময় অসংখ্য পুরাকীর্তির
ভগ্নাবশেষ বের হয়েছে যা সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে । তুলসীগঙ্গা নদীর উঁচু
পাড় হতে প্রায় ১৮ ফুট নিচ পর্যন্ত পাথর দিয়ে বাঁধানো সিড়ি ও প্রাচীন
ইমারতের ধ্বংসাবশেষের দৃশ্য চোখে পড়ার মত । অনুমান করা হয় তুলসীগঙ্গা নদীর
সৃষ্টির ফলে প্রাচীন এই বিশাল ইমারতগুলি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে । বর্তমানে
খ্রিস্টান মিশনের পশ্চিম দিকে একই স্থানে ৯ ( নয়) টি পুকুর ছিল। আর এ জন্যই
স্থানটির নাম নওপুকুরিয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন । ধারণা করা হয় এই
নওপুকুরিয়াতেই ঐতিহাসিক পাথরঘাটার প্রাচীন প্রশাসনিক/আবাসিক ভবন ছিল ।
পাথরঘাটা স্থানীয়ভাবে মহীপুর নামেও পরিচিত। পাল বংশীয় রাজা প্রথম মহীপাল
(৯৮৮-১০৮৩) এর নামানুসারে স্থানটির নাম মহীপুর হয়েছে বলে কিংবদন্তী চালু
আছে । পাথরঘাটা, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট নিমাই পীরের মাজার ছবি পাথরঘাটায়
অবস্থিত বর্তমানে খ্রীস্টান মিশনারীজ ভবনের মাত্র ৩০০ গজ দূরে একটি
ঐতিহাসিক মাজার ও একটি মন্দির আছে । এলাকাবাসী এই মাজারকে পীর কেবলা নাসির
উদ্দিনের মাজার ও হিন্দু সম্প্রদায় নিমাই পীরের দরগাঁ বলে দাবী করেন। নিমাই
পীরের মাজারের পার্শ্বে একটি পাথরের দন্ড পোঁতা আছে । এটা পীর সাহেবের আশা
বলে পরিচিত। একটি সিংহমুখাকৃতি কারুকার্য খচিত পাথরের উপর উপবেশন করে তিনি
একত্ববাদের বাণী প্রচার করতেন । চৈত্র মাসের প্রথম সোমবারে এখানে মাযার
জিয়ারত উপলক্ষে ইসালে সওয়াব এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইসালে সওয়াবের
কয়েক দিন পর এখানে স্নান উপলক্ষে হাজার হাজার হিন্দু নর-নারীর সমাবেশ ঘটে ।
সে সময় এখানে এক বিরাট মেলা হয় । এটি পাথরঘাটার মেলা নামে পরিচিত । এখানে
ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত বহু পাথর পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রবাদ আছে, পীর সাহেব
পাথরগুলি অলৌকিক উপায়ে নদীপথে এখানে এনেছিলেন। ধারণা করা হয় এখানে
তুলসীগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ একটি পাথরের সেতু ছিল। নদীর
পূর্ব তীরে পাথর ও ইটের গাঁথুনি দেখা যায়। এগুলোকে অনেকেই সেতুটির খিলান
বলে মনে করেন । নিমাই পীরের মাজার, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট গোপীনাথপুর মন্দির
ছবি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা সদর হতে মাত্র ৬/৭ কিঃ মিঃ পূর্বে
গোপীনাথপুরে একটি অতি প্রাচীন মন্দির রয়েছে । এটি গোপীনাথ ঠাকুরের মন্দির
নামে পরিচিত । যতদূর জানা যায় আজ হতে পাঁচশত বছর পূর্বে ভারতের নদীয়া জেলার
শান্তিপুরে প্রভুপাদ অদ্বৈত গোস্বামী সবসময় ঈশ্বরের ধ্যান করতেন । তার
স্ত্রী সীতা দেবীও ছিলেন সতী-সাধ্বী নারী । একদিন ২৪ পরগণার যুবক নন্দ
কুমার এবং নদীয়া জেলার আর এক যুবক যজ্ঞেশ্বর রায় প্রভুপাদ অদ্বৈত গোস্বামীর
নিকটে এসে দীক্ষা গ্রহণ করতে চাইলে অদ্বৈত গোস্বামী মহোদয় সব কথা শুনে
তাদেরকে সীতাদেবীর কাছে পাঠান । সীতাদেবী ধ্যান যোগে জানতে পারেন যে, এই
যুবকেরা পূর্ব জম্মে জয়া ও বিজয়া নামে দুই সখী ছিল। তখন সীতাদেবী যুবকদের
মাথা ন্যাড়া করে স্নান করে আসতে বলেন । সীতাদেবীর নির্দেশ মত কাজ শেষ করে
এলে তিনি তাদের দীক্ষা দেন। সীতাদেবী নন্দকুমারের নাম নন্দিনী এবং
যজ্ঞেশ্বরের নাম জংগলী রাখলেন। নন্দিনী প্রিয়া বরেন্দ্র এলাকায় বর্তমান
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ১কিঃমিঃ উত্তরে গভীর
জঙ্গলে নদীর ধারে একটি মন্দির স্থাপন করেন । জনশ্রুতি আছে যে, ১৫২০ হতে
১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান আলাউদ্দীন হুসেন শাহ নন্দিনী প্রিয়ার
পূজা-পার্বণ ও অতিথি সেবার কথা শুনে খুশি হয়ে তাম্রফলকে লিখে
পূর্ণগোপীনাথপুর ও গোপালপুর মৌজার সব সম্পত্তি দেবোত্তর হিসেবে প্রদান করেন
। এরপর পূর্ণ গোপীনাথপুর মন্দিরটি নির্মিত হয় । পাল যুগের নির্মাণ কৌশল
অনুসারে এ মন্দিরটির কাঠামো নির্মিত হয় । বাংলা ১৩০৪ সালে এক ভূমিকম্পে এ
মন্দিরটি ভেঙ্গে পড়ে। ১৯২৮ হতে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বর্তমান মূল
মন্দিরটি পুনরায় নির্মাণ করা হয় । এখনও পুরাতন কারুকার্যের কিছু নমুনা মূল
ভবনে রয়েছে। মন্দিরটির উচ্চতা ৫০ ফুট। এখানে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় আরতি
এবং মধ্যাহ্নে আধামণ চালের অন্নভোগ দেওয়া হয় । প্রতিবছর দোল পূর্ণিমাতে
এখানে মেলা বসে এবং ১৩দিন ধরে এ মেলা চলে । দূর দূরান্ত থেকে ভ্রমণ বিলাসী ও
সৌন্দর্য পিপাসু ব্যক্তিবর্গ এখানে প্রতিনিয়ত আগমন করে। তাই পিকনিক স্পট
হিসেবেও স্থানটি খ্যাতি লাভ করেছে। গোপীনাথপুর মন্দির, আক্কেলপুর,
জয়পুরহাট বার শিবালয় মন্দির ছবি জয়পুরহাট সদর থেকে তিন মাইল উত্তর পশ্চিমে
ছোট যমুনা নদীর তীরে বেল-আমলা গ্রামে এই মন্দিরটি অবস্থিত। এখানকার
প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা নিভৃত স্থানে বারটি শিবমন্দির রয়েছে । মন্দিরগুলি
কোন যুগে এবং কার দ্বারা নির্মিত তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে মন্দিরের গঠন
প্রণালী ও নির্মাণশৈলী দেখে ধারণা করা হয় এগুলি সেন যুগে নির্মিত । কারণ
সেন রাজা বল্লভ সেন ছিলেন শিবের উপাসক তথা শৈব। এতদঞ্চলে সেন রাজাদের আরও
কিছু কীর্তি রয়েছে । যেমন পাঁচবিবির লকমা রাজবাড়ি ও পাথরঘাটা। এ থেকে ধরে
নেয়া যায় যে, রাজা বল্লাল সেন শিব উপাসনার জন্য এখানে এই মন্দিরগুলি
নির্মাণ করেছিলেন । বারশিবালয় মন্দির, জয়পুরহাট সদর, জয়পুরহাট দুয়ানী ঘাট
ছবি খঞ্জনপুর খাসমহাল কাচারী হতে এক মাইল পশ্চিমে যমুনা নদীর তীরে ২দুয়ানী
ঘাট অবস্থিত । নাটোরের সুকুল পরিবারের জমিদার তারা প্রসাদ সুকুলের দুই আনা
জমিদারীর অন্তর্ভূক্ত থাকায় এই ঘাটের নাম হয় দুয়ানী ঘাট। বরুণীয় স্নান
উপলক্ষে এখানে প্রতি বছর মেলা হয় এবং মেলায় প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে ।
দুয়ানী ঘাট, জয়পুরহাট সদর, জয়পুরহাট
জয়পুরহাট গৌড় পাল ও সেন রাজার রাজত্ব ছিলো জয়পুরহাটে। ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে জানা যায় ধর্মপাল দীর্ঘদিন নওগাঁ ও জয়পুরহাট নিয়ে রাজত্ব করেন। তার অপরূপ দৃষ্টান্ত জয়পুরহাট সংলগ্ন বৌদ্ধ বিহার (পাহাড়পুর) নওগাঁ জেলার মধ্যে স্থাপন করে। ধর্মপালের পর তার দ্বিতীয় ভ্রাতৃদ্বয় দেবপাল রাজা হয়। দেব পালের পর তার পাল রাজ সম্রাজ্যের রাজা হয় জয়পাল। তবে ইতিহাসে জানা যায়নি জয়পালের সঙ্গে দেবপালের কি সম্পর্ক। এই জয়পাল রাজার নামেই জয়পুরহাট জেলার নাম জয়পুর নামকরণ করা হয় ১৮০০ সালের দিকে। তার পূর্বে এর নাম ছিলো গোপেন্দ্রগঞ্জ। ১৮৫৭ থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ১৮৮৪সালে জলপাইগুড়ি হতে কলকাতা পর্যন্ত ২৯৬ মাইল রেললাইন স্থাপন করা হয় এবং মালামাল রপ্তানির জন্য ৪-৭মাইল পর পর স্টেশন স্থাপন করা হয়। এই সময় ভারতবর্ষে পূর্বেই আরেকটা জয়পুর স্টেশন ছিলো যা এখনো রয়েছে তাই ভারত সরকার সে সময় জয়পুরের সঙ্গে হাট যুক্ত করে জয়পুরহাট স্টেশন নামকরন করে সেই অনুসারে জেলার নামকরণ জয়পুরহাট বলেই প্রচলিত হয় ও সরকারি রেজিস্টারেও যুক্ত হয়। হাট যুক্ত করার কারন হচ্ছে জয়পুরহাট স্টেশনের পাশেই ছিলো ছোট যমুনা যেখানে বসতো মূল বাজার এই বাজারকে বলা হতো যমুনার হাট।
জয়পুরহাট গৌড় পাল ও সেন রাজার রাজত্ব ছিলো জয়পুরহাটে। ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে জানা যায় ধর্মপাল দীর্ঘদিন নওগাঁ ও জয়পুরহাট নিয়ে রাজত্ব করেন। তার অপরূপ দৃষ্টান্ত জয়পুরহাট সংলগ্ন বৌদ্ধ বিহার (পাহাড়পুর) নওগাঁ জেলার মধ্যে স্থাপন করে। ধর্মপালের পর তার দ্বিতীয় ভ্রাতৃদ্বয় দেবপাল রাজা হয়। দেব পালের পর তার পাল রাজ সম্রাজ্যের রাজা হয় জয়পাল। তবে ইতিহাসে জানা যায়নি জয়পালের সঙ্গে দেবপালের কি সম্পর্ক। এই জয়পাল রাজার নামেই জয়পুরহাট জেলার নাম জয়পুর নামকরণ করা হয় ১৮০০ সালের দিকে। তার পূর্বে এর নাম ছিলো গোপেন্দ্রগঞ্জ। ১৮৫৭ থেকে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ১৮৮৪সালে জলপাইগুড়ি হতে কলকাতা পর্যন্ত ২৯৬ মাইল রেললাইন স্থাপন করা হয় এবং মালামাল রপ্তানির জন্য ৪-৭মাইল পর পর স্টেশন স্থাপন করা হয়। এই সময় ভারতবর্ষে পূর্বেই আরেকটা জয়পুর স্টেশন ছিলো যা এখনো রয়েছে তাই ভারত সরকার সে সময় জয়পুরের সঙ্গে হাট যুক্ত করে জয়পুরহাট স্টেশন নামকরন করে সেই অনুসারে জেলার নামকরণ জয়পুরহাট বলেই প্রচলিত হয় ও সরকারি রেজিস্টারেও যুক্ত হয়। হাট যুক্ত করার কারন হচ্ছে জয়পুরহাট স্টেশনের পাশেই ছিলো ছোট যমুনা যেখানে বসতো মূল বাজার এই বাজারকে বলা হতো যমুনার হাট।
গোপিনাথপুর মন্দির |
বারশিবালয় মন্দির |
লাকমা রাজবাড়ি |
লাকমা রাজবাড়ি |
দর্শনীয় স্থান
নাম | কিভাবে যাওয়া যায় | অবস্থান |
---|---|---|
ক্ষেতলাল উপজেলার আছরাঙ্গা দিঘী | ক্ষেতলাল,জফুরহাট | |
কালাই উপজেলার নান্দাইল দিঘী | কালাই,জয়পুরহাট | |
পাঁচবিবি উপজেলার প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি পাথরঘাটা | পাঁচবিবি,জয়পুরহাট | |
আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর মন্দির | আক্কেলপুর,জয়পুরহাট | |
জয়পুরহাট সদর উপজেলার বারশিবালয় মন্দির | জয়পুরহাট সদর | |
আছরাঙ্গা দিঘী | জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন | |
নান্দাইল দিঘী | কালাই উপজেল পুনট ইউনিয়ন | |
লাকমা রাজবাড়ি | পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম কড়িয়া গ্রামে | |
পাথর ঘাটা | পাঁচবিবি উপজেলা সদর হতে ৫ কিঃ মিঃ পূর্বে তুলশীগঙ্গা নদীর পশ্চিম | |
নিমাই পিরের মাজার | পাঁচবিবি উপজেলা | |
গোপিনাথপুর মন্দির | আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর মন্দির | |
হিন্দা কমবা শাহী মসজিদ | ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা গ্রামে | |
নন্দইল আদিবাসী ভাস্কর্য | সদর উপজেলা থেকে ভ্যান, রিক্সা, ইজি বাইকের মাধ্যমে | নন্দইল আদিবাসী ভাস্কর্য, নন্দইল, ধরন্জী, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট। |
ফটো গ্যালারী জয়পুরহাট
ফটো গ্যালারী জয়পুরহাট:-
-
জাতীয় শোক দিবসের মোনাজাত অনুষ্ঠান
-
বিভাগীয় কমিশনারের ইউনিয়ন পরিষদ দর্শন ও মতবিনিময় সভা
-
অপ্রধান শস্য প্রকল্প
-
নারীদের অংশ গ্রহনের উনমুক্ত আলোচনা
-
ফটো গ্যালারী
-
আইসিটি ছবি
-
আধুনিক জেলা হাসপাতাল,জয়পুরহাট
-
ডিসি অফিস
Subscribe to:
Posts (Atom)